ত্রিপুরায় সংক্রমণ বাড়ায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছিল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। জোর দিতে বলা হয়েছিল, করোনা পরীক্ষা ও কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ওপর। তবে ১৫১টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতেই আসল কারণ সামনে এল। ত্রিপুরায় ১৩৮ জন করোনা আক্রান্তের দেহে মিলল ‘অতি সংক্রামক’ ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই কথা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো রাজ্যে এই প্রথম ডেল্টা প্লাসের সন্ধান মিলেছে। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার দেববর্মা জানিয়েছেন এ কথা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই করোনার এই রূপকে ‘ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে ত্রিপুরাসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতেই। সংক্রমণ রুখতে ত্রিপুরার ১৩
পৌর এলাকায় সপ্তাহ শেষে কারফিউ লঘু করা হয়েছে। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার দেববর্মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে ১৫১ নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।এর মধ্যে ১৩৮ জনের শরীরে মিলেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এছাড়াও তিন জনের শরীরে আলফা ভ্যারিয়েন্টের হদিস মিলেছে। আট জেলার মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরায় ১১৫ ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এছাড়াও সিপাহী জেলায় আট জন, গোমতিতে পাঁচ জন, উনাকোটিতে চার জন, উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরায় দুই জন করে ও খোয়াই এবং ঢলাইতে একজন করে ডেল্টা ভ্যারিইয়েন্ট সংক্রমিত।
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে অনেক দ্রুত ও বেশি হারে সংক্রমিত হয়। ফলে চিন্তা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি ভালো করে মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ত্রিপুরার হেল্থ সার্ভিসের পরিচালক সুভাশিষ দেববর্মা।
সংক্রমণ রুখতে কড়া হাতে রাশ ধরতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন। ১৩ পুর এলাকায় ইতোমধ্যেই শনি ও রোববার কারফিউ জারি হয়েছে। বজায় থাকছে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত।
এদিকে আংশিক লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৬৯ হাজার ৫৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৫৭৪ জনের। পজিটিভিটির হার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। ত্রিপুরায় দৈনিক করোনা পজিটিভিটি রেট হল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।