আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা দখলে নিয়েছে বলে শুক্রবার দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন তালেবান। অপপ্রচার বলে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আফগান সরকার।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, তালেবানের এলাকা দখলের যতোটুকু সত্য বলে স্বীকার করেছে কাবুল, সেটিও কৌশলগতভাবে অগুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করা হচ্ছে।
কিন্তু খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বিভিন্ন অঞ্চলসহ কয়েকটি বর্ডার ক্রসিং দখল তালেবানের আয়ের নতুন উৎস হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা ঘনিয়ে উঠছে।
স্থানীয় আফগান প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে, হেরাত প্রদেশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইরান সীমান্তবর্তী ইসলাম কালা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের লাখো মানুষের বসতি সেখানে।
একই প্রদেশে তুর্কমেনিস্তান সীমান্তবর্তী আরেকটি জেলাশহর তোরঘুন্দিও তালেবান যোদ্ধারা এক রাতে দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন।
আল জাজিরার আরেকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, চীন ও পাকিস্তান- এই পাঁচ দেশের সীমান্ত সংলগ্ন আফগান অঞ্চলগুলো দখল করেছে তালেবান।
বালখ প্রদেশেও উজবেকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকা দখলের চেষ্টা করছে তালেবান। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া আফগান সেনাদের সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তালেবান যোদ্ধাদের।
সীমান্ত এলাকায় তালেবানের তৎপরতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইরান। সীমান্তরক্ষীদের পাশাপাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে দেশটির অভিজাত সশস্ত্র বাহিনী রেভোল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরাও।
সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএকে দেশটির সেনাবাহিনীর স্থল অভিযানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরহাদ আরিয়ানফার বলেন, ‘সীমান্তের প্রতিটি নড়াচড়া লক্ষ্য করছি আমরা।
‘সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ কিংবা কোনোরকম চোরাচালানের প্রচেষ্টা সহ্য করা হবে না।’
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের সেনারা সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত অঞ্চলগুলো দখলে এগোচ্ছে তালেবান।
দেশের ৮৫ শতাংশ এলাকা দখলের যে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি, তা স্বাধীনভাবে যাচাইয়ের উপায় নেই।
তবে বিভিন্ন হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের ৪১৯ জেলার এক-তৃতীয়াংশের বেশি বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।