হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যায় কলম্বিয়ার ২৬ ও হাইতি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিক জড়িত ছিল।
হাইতির পুলিশ বিভাগ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ক্যারিবীয় দেশটির পুলিশের প্রধান লিওন চার্লস জানান, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক কমান্ডো বাহিনী প্রেসিডেন্ট মইসিকে খুন করে। এ বাহিনীতে কলম্বিয়ার অবসরপ্রাপ্ত ২৬ সেনা ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিক ছিল।
তিনি বলেন, ‘মইসি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন আটজন এখনও পলাতক।
‘বিদেশিরা আমাদের দেশে এসে প্রেসিডেন্টকে হত্যা করেছে। আমরা তদন্তকাজ আরও জোরদার করব। আট পলাতককে ধরতে কৌশল খোঁজা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার অস্ত্র, কলম্বিয়ান পাসপোর্টসহ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করে হাইতি পুলিশ।
দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে বুধবার মইসি হত্যায় জড়িত চার সন্দেহভাজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
বুধবার ভোরে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে মইসিসহ তার স্ত্রী মার্টিন মইসিকে গুলি করে একদল বন্দুকধারী।
হাইতি কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাস্থলে মইসিকে চিত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীরে ১২টি গুলি পাওয়া যায়। বন্দুকধারীদের গুলিতে তাৎক্ষণিক মৃত্যু হয় তার।
হামলায় গুরুতর আহত মার্টিন মইসিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
প্রেসিডেন্ট মইসিকে কেন হত্যা করা হয়েছে বা কারা এর পরিকল্পনা করেছে, তা জানা যায়নি।
হাইতির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ অবশ্য বিবিসিকে বলেন, দেশের ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপের কারণে হামলার শিকার হতে পারেন ৫৩ বছর বয়সী মইসি।