আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় বাদঘিস প্রদেশের রাজধানী কালা-ই-নাও থেকে তালেবান যোদ্ধাদের হটিয়ে ফের দখলে নিয়েছে দেশটির সরকারি বাহিনী।
প্রাদেশিক রাজধানীটি বৃহস্পতিবার আফগান বাহিনীর দখলে চলে যায় বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ বাদঘিসের রাজধানী কালা-ই-নাওয়ের উপকণ্ঠে এখনও তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই চলছে।
বুধবার কালা-ই-নাওয়ের পুলিশের সদর দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন দখল করে তালেবান।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ আমান বলেন, ‘কালা-ই-নাও এখন সম্পূর্ণ আমাদের দখলে। শহরের উপকণ্ঠে তালেবানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, কালা-ই-নাও ফের দখলের লড়াইয়ে ৬৯ তালেবান যোদ্ধার মৃত্যু হয়।
ওই সময় তালেবানের বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়।
টানা ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর অল্পসংখ্যক সেনা এখন দেশটিতে অবস্থান করছে।
শুক্রবার বিদেশি সেনারা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি বাগরাম ছেড়ে যায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল নিজেদের দখলে নেয়া শুরু করে তালেবান।
বেশ কয়েকটি ছোট ছোট অঞ্চল দখল করার একপর্যায়ে বুধবার প্রথমবারের মতো কোনো প্রাদেশিক রাজধানীতে হামলা চালিয়ে দখলে নেয় সংগঠনটি।
বাদঘিসের রাজধানী শহর ফের আফগান সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও প্রদেশটির বাকি অংশ এখনও তালেবানের দখলেই রয়েছে।
পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভাষ্য, আফগানিস্তানের শতাধিক জেলা তালেবানের কবজায়।
অন্যদিকে তালেবান বলছে, দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ২০০টির বেশি জেলা তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।
প্রধান শহর ও প্রাদেশিক রাজধানীগুলো এখন পর্যন্ত আফগান সরকারের দখলে রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক অঞ্চলে হামলা চালায় তালেবান। তবে বিদেশি সেনারা বাগরাম বিমানঘাঁটি ছেড়ে যাওয়ার পর তাদের হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।