সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে সংগীতশিল্পী, রাজনীতিক বাবুল সুপ্রিয় তার পারফরমান্স রিপোর্ট কার্ডে ৭ এর মধ্যে ২ পেয়েছেন। নিজেও টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে হেরে গেছেন। এবার মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন।
তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে বলে বুধবার ফেসবুক পোস্টে নিজেই জানিয়েছেন বাবুল। এবং তিনি ইস্তফাও দিয়েছেন।
সঙ্গীত ও অভিনয় জগৎ থেকে সরাসরি বাবা রামদেবের হাত ধরে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন বাবুল। বিজেপিতে যোগ দিয়ে আসানসোল কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রিত্বও পেয়ে যান।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘হামে বাবুল চাহিয়ে’ স্লোগান তুলেছিলেন। তৃণমূলের দোলা সেনকে সেবার ৭০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন বাবুল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের মুনমুন সেনকে প্রায় দুই লাখ ভোটে পরাজিত করেন বাবুল সুপ্রিয়।
আসানসোল লোকসভা আসনের বিপরীতে সাতটি বিধানসভার আসন। আসানসোলের সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে আসানসোল দক্ষিণ এবং কুলটি, এই দুটি আসন ছাড়া আর কোথাও জয় পায়নি বিজেপি।
বাবুলের সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নিজের এলাকায় ব্যস্ত ছিলেন বাবুল। এ কারণে আসানসোলে সময় দিতে পারেননি। তবে কারণ যাই হোক তিনি আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন।
শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলেও মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় দুঃখিত বলে তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
টানা সাত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৪ সালে প্রথমে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। ২০১৬ সালে দপ্তর বদলে হয়। ভারী এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিমন্ত্রী। ২০১৯ সালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।