মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন (ভ্যাকসিনেটেড) বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
তবে ৭৬ বছর বয়সী এ নেতা কবে বা কোন টিকা নিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
সু চির আইনজীবীর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকার মধ্যেই বন্দি অবস্থায় টিকা নেন তিনি।
জুনে সু চি ও মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে রাজধানীর বাসভবন থেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় দেশটির সেনাবাহিনী। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজধানীতে নিজেদের বাসভবনে আটক ছিলেন দুই নেতা।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের স্বাস্থ্য খাত প্রায় অচল। গণআন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে ধর্মঘট ও কর্মবিরতিতে গেছেন বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
মিয়ানমারের সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ দুই ডোজ করে টিকা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৫ লাখ ডোজ দেয়া হয়েছে দেশটিতে।
মহামারির দেড় বছরে মঙ্গলবার রেকর্ড সর্বোচ্চ তিন হাজার ৬০২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয় মিয়ানমারে।
ছোঁয়াচে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে এক দিন আগেই রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে রাজধানী নেপিডোতে। আরও কিছু বিধিনিষেধ জারি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
দেশটি প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকে ১৫ লাখ ডোজ ও চীনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা নেয়ার চেষ্টা করছে।