মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা সফরকালে মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এ সমর্থনের কথা জানান।
লাভরভ জানান, অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান) মিয়ানমার নিয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এর মাধ্যমে সংকটে জর্জরিত দেশটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় আসিয়ানের অবস্থানের প্রতি আমাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছি।
‘আমরা মনে করি, আসিয়ানের প্রস্তাব মিয়ানমারের সংকট নিরসনের ভিত্তি হতে পারে।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে আলোচনা শেষে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারের চলমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার গভীর সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে লাভরভের বক্তব্যে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে আসিয়ানের পাঁচ দফা প্রস্তাবের প্রতি জোর দেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি।
প্রস্তাবে মিয়ানমারের সহিংসতা দ্রুত বন্ধে দেশটির সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা শুরুর কথা বলা হয়।
১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
সে সময় সামরিক নেতাদের হাতে গৃহবন্দি হন দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মিয়ানমারের জনগণের চলমান আন্দোলনে সামরিক জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে। কারাবন্দি হয়েছে অনেকে।
আন্তর্জাতিক মহলও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার।
মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক নেতা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে বৈশ্বিক আহ্বানও জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
তবে রাশিয়া শুরু থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নে নীরব থেকে সেনা কর্মকর্তাদের কার্যকলাপে সমর্থন দিয়ে গেছে।