আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান নাজুক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া গুরুতর হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে রোববার ফোন করে তিনি এ উদ্বেগের কথা জানান।
ওই সময় ইমরান বলেন, আফগানিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে।
ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ধাক্কা পাকিস্তান ও ইরানে লাগতে পারে বলে জানান ইমরান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, টেলিফোনে আলাপকালে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য কট্টর ডানপন্থি রাইসিকে অভিনন্দন জানান ইমরান। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে রাইসির নেতৃত্বের প্রতি ইরানের মানুষের আস্থার প্রতিফলন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে পারে, তা নিয়ে কথা বলেন ইমরান ও রাইসি।
এ সময় প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে চলমান সংঘর্ষ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন ইমরান।
দুই নেতা আফগানিস্তানের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সহায়তা জারি রাখার বিষয়ে জোর দেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরও জানায়, জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে ইরানের অবিচল সমর্থনের জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান ইমরান।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীর ও ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইমরান ও রাইসি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ওই দুই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধান করা উচিত বলে একমত পোষণ করেন দুই নেতা।