ড্রোন হামলা ও বারবার জম্মুর আকাশে ড্রোনের চক্করে সতর্ক প্রশাসন। গোটা জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায়ই জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
এবার ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল শ্রীনগর জেলা প্রশাসন। বিক্রি বা নিজের কাছে কোনো ড্রোন রাখা যাবে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার শ্রীনগরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আইয়াজ নির্দেশিকা জারি করে জানান, যাদের কাছে ড্রোন ক্যামেরা বা ওই জাতীয় কোনো বস্তু রয়েছে, তা যেন শিগগিরই স্থানীয় পুলিশের কাছে জমা দেয়া হয়।
নিরাপত্তার কারণে জেলায় ড্রোনের ব্যবহার, বিক্রি ও রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যাতে ড্রোন ব্যবহার না করা হয়, সেই নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
রাজৌরিতেও চলতি সপ্তাহেই একই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ ও অনুপ্রবেশ ছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে ড্রোন ব্যবহার অত্যন্ত ভয়ংকর।
‘প্রাণহানি বা সম্পত্তি নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে সব ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।’
কৃষি বা পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সমীক্ষা ও নজরদারির কাজে যে সরকারি ড্রোন ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রেও ব্যবহারের আগে স্থানীয় থানা থেকে অনুমতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসব নিয়ম ভাঙা হলে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে জম্মু বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোনের মাধ্যমে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনায় আহত হন দুজন সেনা মার্শাল।
ওই ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
এদিকে হামলার পর থেকে একাধিকবার মধ্যরাত বা ভোররাতে বিমান ও সেনাবাহিনীর ঘাঁটির কাছে ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহেও আর্নিয়া সেক্টরের কাছে সীমান্ত টপকে দুটি ড্রোনকে ভারতের ওপর নজরদারি চালাতে দেখা যায়।
বিএসএফ জওয়ানরা ছয় রাউন্ড গুলি চালাতেই সেগুলো পাকিস্তান সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়।