আফগানিস্তানের যেসব অঞ্চল সরকারের কাছ থেকে দখলে নিয়েছে সেসব অঞ্চলে তালেবান কঠোর শাসন কায়েম করছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় আফগান নাগরিক ও অধিকার কর্মীরা।
আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এরিয়া নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর ছেপেছে ভারতের দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেখানে বলা হয়, তালেবান অধ্যুষিত অঞ্চলে পুরুষদের দাড়ি রাখায় ফের বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। আর নারীদের ওপর পুরুষ অভিভাবক ছাড়া একা ঘর থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এছাড়া যৌতুকের নিয়ম কানুনে কিছু পরিবর্তন এসেছে।
এ ঘটনা ৯০ দশকের আফগানিস্তানে তালেবান শাসন ব্যবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে সময় পাথর নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হতো, চুরির জন্য হাত কেটে দেয়া হতো এবং নারীদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ ছিল।
তাকহার প্রদেশের সামাজিক অধিকারকর্মী মেরাজউদ্দিন জানান, এক বিজ্ঞপ্তিতে তালেবান জানিয়েছে, নারীরা এখন থেকে কোনো পুরুষ ছাড়া বাইরে বেরুতে পারবে না। সেই সঙ্গে পুরুষদের দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক। এ চর্চা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
এদিকে, তাকহার প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্যরা বলছেন, তালেবান এ অঞ্চল দখলে নেয়ার পর থেকে এখানে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা ঝুলছে।
তাকহারের গভর্নর আব্দুল্লাহ কারলুক জানান, বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে তালেবানরা। এ অবস্থা থেকে উদ্ধারে কাবুলের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
অবশ্য তালেবান এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা আফগানিস্তান থেকে ফেরত নেয়ার ঘোষণার পরপর নড়েচড়ে বসে তালেবান। গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির উত্তরাঞ্চলের অনেক প্রদেশ দখলে নিয়েছে তাদের যোদ্ধারা।