৪৬ বছর আগের ২৫ জুন দিনটিতে ফিরে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিলেন, ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে ২৫ জুন ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। কীভাবে দেশের কাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল তাও মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এলাহাবাদ হাইকোর্ট সাংবিধানিক অধিকারের অপব্যবহার করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই ২৫ জুন থেকে দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন তিনি। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। বিরোধী নেতাদের প্রায় দুই বছর জেলবন্দি থাকতে হয়।
বিজেপির তরফে প্রতি বছরই এই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।
শুক্রবারও ৪৬ বছর পুরনো স্মৃতি উসকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘জরুরি অবস্থার সেই অন্ধকারময় দিনগুলি কখনও ভোলা যাবে না। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালে ক্রমাগত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছিল। আসুন আমরা সকলে মিলে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করি এবং সংবিধান মেনে বাঁচার চেষ্টা করি।’
জরুরি অবস্থা চলাকালে কী কী বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সেই বিষয়েও একাধিক ছবিসহ বিজেপির সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট করা হয়। সেই লিঙ্কও শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘এভাবেই কংগ্রেস আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আঘাত হেনেছিল।’
বিজেপির শেয়ার করা পোস্টে জরুরি অবস্থা চলাকালে কিশোর কুমারের গান, মহাত্মা গান্ধী বা রবীন্দ্রনাথের বাণী, কিংবা চন্দ্র শেখর আজাদ, ভগৎ সিংয়ের ওপর সিনেমায় যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে শেষ ছবিতে সাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলা হয়, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে শপথ নিই, যারা আমাদের দেশের এই হাল করেছিল, তাদের হাতে ক্ষমতা যেন কখনও না ফেরে।’
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা তথা ইন্দিরা গান্ধীর নাতি রাহুল গান্ধীও জরুরি অবস্থা জারিকে ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত বলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আমার ঠাকুমাও সেই কথাই বলতেন। কিন্তু কংগ্রেসের কখনওই দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ওপর দখল করার উদ্দেশ্য ছিল না। সত্যি বলতে, তাদের সেই ক্ষমতাও ছিল না।’