করোনা টিকাকরণ নিয়ে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ভারতে।
সোমবার ৮৮ লাখ মানুষের টিকা দেয়ার পর মঙ্গলবার তা এক ধাক্কায় ৫৩ লাখে নেমে আসে।
যোগ দিবসের দিন টিকা দেয় প্রায় ৮৮ লাখ মানুষ। সেই রেকর্ডের পর টুইট করে সাধুবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কিন্তু পরের দিনই টিকা দেয়ার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেকর্ড টিকা কি শুধুই চমক? প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
টিকার এই নিম্নগতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছেন সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। টুইটে পি চিদাম্বরম জানিয়েছেন, একদিনে টিকার ‘বিশ্ব রেকর্ডের’ রহস্য ধরে ফেলেছেন তিনি।
টুইটে সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রোববারে জমা করো, সোমবারে টিকা দাও। এরপর মঙ্গলবারে ফের খোঁড়াতে শুরু করো। এটাই একদিনে টিকার বিশ্ব রেকর্ডের গোপন রহস্য।’
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে পি চিদাম্বরম আশা প্রকাশ করেন, ‘আমি নিশ্চিত এই বিষয়টি গিনিস বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নেবে।’ এমনকী মোদি সরকার মেডিসিনে নোবেল পুরস্কারও পেতে পারে বলে মনে করেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অন্য একটি টুইটে চিদাম্বরম লিখেছেন, ‘কে জানে, হয়তো মেডিসিনের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়ে যেতে পারে মোদি সরকার। আগে বলা হত মোদি হ্যায়, মুমকিন হ্যায়। এখন মোদি হ্যায়, মিরাকল হ্যায় হয়ে গিয়েছে।’
চিদাম্বরমের খোঁচার পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের অভিযোগ, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। এই রাজ্যগুলোই ভারতকে টেনে পিছিয়ে দিচ্ছে।
টুইটে মালব্য লিখেছেন, ‘সোমবার টিকা দেয়ার রেকর্ড গড়ার পর মঙ্গলবার ভারতে ৫৪ লাখ লোক টিকা দিয়েছে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতেই টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া খোঁড়াচ্ছে। দেশকে পিছনে টানছে। চিদাম্বরম বরং কংগ্রেস ও তাদের জোট সরকার শাসিত পাঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির টিকাকরণ নিয়ে মাথা ঘামাক। আমাদের রেহাই দিন।’