ভারতে সীমা ছাড়াচ্ছে জ্বালানির দাম। এক-দুই দিন পরপর পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ছে দফায় দফায়। দামের এই ঊর্ধ্বগতির শেষ কোথায় কেউ জানেন না।
দাম বাড়ছে ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পরপর। করোনাভাইরাসের আবহে দেশবাসীর কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ জ্বালানির এই বর্ধিত দামের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন দেশবাসী।
জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রবল চাপ বাজার অর্থনীতিতে। সব জিনিসের আগুন দাম। পরিস্থিতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে চাপ বাড়ছে জনগণের স্নায়ুর ওপরও।
ডিজেলভিত্তিক পরিবহনই অর্থনীতির ভিত ৷ পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে মূল ভরসা ডিজেল ৷ দেশে ডিজেলের দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া৷ সমস্যা সুরাহার কোনও দিশাই এদিকে নেই৷
রাজধানী দিল্লিতে মঙ্গলবার লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়েছে ২৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৬ পয়সা ৷ এদিন দিল্লিতে পেট্রলের দাম ৯৭.৫০ টাকা প্রতি লিটার ও ডিজেল ৮৮.২৩ টাকা ৷
মুম্বাইয়ে পেট্রলের দাম ১০৩.৬৩ টাকা ও ডিজেল ৯৫.৭২ টাকা ৷ পাটনায় পেট্রল ৯৯.৫৫ টাকা ও ডিজেল ৯৩.৫৬ টাকা প্রতি লিটার৷
রাঁচিতে ডিজেল ৯৩.১৩ টাকা ও পেট্রল ৯৩.৩৫ টাকা৷ লক্ষ্ণৌতে পেট্রল ৯৪.৭০ টাকা ও ডিজেল ৮৮.৬৪ টাকা৷
বেঙ্গালুরুতে পেট্রল ১০০.৭৬ টাকা ও ডিজেল ৯৩.৫৪ টাকা প্রতি লিটার ৷ কলকাতায় পেট্রলের দাম ৯৭.৩৮ টাকা ও ডিজেল ৯১.০৮ টাকা ৷ জয়পুরে পেট্রলের দাম ১০৪.১৭ টাকা ও ডিজেল ৯৭.২৭ টাকা প্রতি লিটার।
চেন্নাইয়ে পেট্রল ৯৮.৬৫ টাকা ও ডিজেল ৯২.৮৩ টাকা প্রতি লিটার।
শুধু চলতি মাসেই এই নিয়ে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ল ১২ বার। মে মাসে দাম বেড়েছিল ১৬ বার। ৪ মে থেকে দফায় দফায় বেড়েছে দাম।
বেঙ্গালুরু, জয়পুর, মুম্বাইসহ দেশের ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পেট্রলের দাম ১০০ ছাড়িয়েছে।
রাজ্যগুলো হলো রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর।
দাম বৃদ্ধির নিন্দা করছে সব মহলই। কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো।
উচ্চবাচ্য করছে না ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ও। সাধারণ মানুষের ভরসা শুধু সরকারের ‘লোক দেখানো উদ্বেগ’।