মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছে, ‘মমতা এবং তৃণমূল এখন উগ্রপন্থিদের শেল্টার দেয়ার কাজ করছে। এইভাবে চললে পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে বাংলাদেশ হয়ে যাবে।’
দিলীপের প্রশ্ন, ‘কেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে এ রাজ্য আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা? কেন বাংলায় বারবার দাঙ্গা হয়? কেন বারবার বিস্ফোরণ হয়? সব জেনেও সরকার চুপ কেন?’
এমন একাধিক প্রশ্নে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দিলীপ।
দিলীপ ঘোষ সোমবার মালদায় বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া শান্তি ফিরবে না।’
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তররের জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি সাংসদ জন বার্লার এরকম একটি মন্তব্য করার পর সেটিকে উস্কানিমূলক ও বিচ্ছিন্নতাবাদি হিসেবে আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে কোচবিহারের তিনটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলা ভাগ সমর্থন করে না বিজেপি। সামগ্রিকভাবে সরকারের ওপর আস্থা রাখতে না পেরে, মানুষ হতাশা থেকে এ ধরনের মন্তব্য করছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এ রাজ্যে সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধন আইন) নিয়ে প্রতিবাদে আগুন জ্বালানো হয়। স্টেশন পোড়ানো হয়। তখন দেশদ্রোহিতার মামলা হয় না। আশ্রয় দেয়া হয়। তাই হতাশা থেকে মানুষ এসব কথা বলছে।’
দিলীপ বলেন, ‘বিজেপি সব সময় গণতন্ত্রের কথা বলে, যা এই মুহূর্তে রাজ্যে নেই।’
তার দাবি, ‘ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া বহু মানুষ। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
মালদার কালিয়াচকের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কাশ্মীরের চেয়েও ভয়ঙ্কর অবস্থা। উনি আফগানিস্তান, সিরিয়া বানিয়েছেন। আমরা সোনার বাংলা বানানোর চেষ্টা করব।’