বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জলমগ্ন কলকাতা, ক্ষমা চাইলেন প্রশাসক

  •    
  • ১৮ জুন, ২০২১ ১৯:১৫

সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, 'হাওড়া হুগলিতে প্রতিবছর বন্যা হয়। সেটি মোকাবিলায় লোয়ার দামোদর প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার জন্য কাজ এগোতে পারেনি। বিশ্বব্যাংকের কাছে স্থায়ী সমাধানের জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে।’

নিম্নচাপ আর ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। এ জন্য শহরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার সাবেক মেয়র ও বর্তমান মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বললেন, 'এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টের অসমাপ্ত কাজের জন্য মূলত বেহালা এবং সংলগ্ন এলাকায় জল জমেছে। অবিলম্বে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'

কলকাতা শহরে জল জমার কারণ হিসেবে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বেহালায় কেইআইআইপির ২০২০-এ কাজ শেষ করার কথা ছিল । কিন্তু ২০২১ সালেও সেই কাজ শেষ হয়নি।'

কাজ শেষ হতে এত দেরি কেন, তা জানতে শুক্রবার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ২০২২ সালের মধ্যে বেহালার নিষ্কাশনব্যবস্থার কাজ শেষ হবে বলেও জানান।

বুধবার রাত থেকে মৌসুমি বায়ু আর নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে কলকাতা শহর জলমগ্ন হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জল থইথই করছে। কোথাও কোথাও রাস্তার ম্যানহোল খুলে দিয়ে জল সরানোর চেষ্টা চলছে।

বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গিরীশ পার্ক, কালীঘাট, বেহালা, যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, আনন্দপুরসহ বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। শহরের একাধিক অভিজাত আবাসনেও জল ঢুকেছে।

অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র হাওড়া হুগলি বন্যাপ্রবণ এলাকার বিধায়কদের নিয়ে আজ বৈঠক করেন। বৈঠকে দপ্তরের প্রধান সচিব ও অন্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, 'হাওড়া হুগলিতে প্রতিবছর বন্যা হয়। সেটি মোকাবিলায় লোয়ার দামোদর প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার জন্য কাজ এগোতে পারেনি। বিশ্বব্যাংকের কাছে স্থায়ী সমাধানের জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে।’

এদিকে হাওড়া হুগলিতে ফ্লাড সেন্টার এবং রেসকিউ টিমকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সেচ দপ্তর জানিয়েছে, উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার নদী বাঁধ মেরামতের কাজ ২৬ জুন কোটালের আগে শেষ করতে চায় রাজ্য প্রশাসন। ফলে কোথাও কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, তার জন্য সতর্কতা ও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে বাকি কাজ শেষ করতে হবে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শুক্রবার কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শনিবার মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

২০ জুন রোববার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর