করোনাভাইরাসের সব কয়টি ধরনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্সের তৈরি টিকা কোভভ্যাক্স ৯৩ শতাংশের বেশি কার্যকর।
মানবদেহে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ শেষে সোমবার এমন দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়নবিষয়ক প্রধান গ্রেগরি গ্লিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর প্রয়োগ করার পর এই টিকার কার্যকারিতা ও সুরক্ষার বিষয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
গ্রেগরি গ্লিন বলেন, ‘এই টিকা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে থাকা সেচ্ছাসেবক ও গুরুত্বর অসুস্থ রোগীদেরকে নিরাপদ রাখতে ৯৩ শতাংশের বেশি কার্যকর। স্বল্পমাত্রায় অসুস্থদের সুরক্ষা দিতে শতভাগ কার্যকর কোভভ্যাক্স। করোনার যে সব ধরন এখনও শনাক্ত করা যায়নি, সেগুলোর বিরুদ্ধেও ৭০ শতাংশ কার্যকর হবে এই টিকা।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য দুটি ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানের তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ৯৫ শতাংশের বেশি কার্যকর আর মডার্নার টিকা ৮৬ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, স্পুটনিক-ভি, কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ডের মতো টিকার প্রয়োগ বিশ্বব্যাপী চললেও এসব টিকা করোনার শক্তিশালী ধরনগুলোর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর তা নিয়ে হতাশাজনক তথ্য রয়েছে।
এই দিকে, নোভাভ্যাক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পাবে তাদের উৎপাদিত টিকা।
কোভভ্যাক্স টিকা সংরক্ষণ ও পরিবহন করা সহজ এবং এটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকার সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতি মাসে ১০ কোটি টিকা তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন গ্লিন। আর পরের বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে তারা মাসিক উৎপাদন ১৫ কোটিতে উন্নীত করতে পারবে।