সেচ দপ্তরে দুর্নীতি, আর ইয়াসের ত্রাণের ত্রিপল লুটের অভিযোগের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
১ জুন কাঁথি পৌরসভার পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না কাঁথি থানায় ত্রিপল লুটের অভিযোগ করেন।
তার অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী ও তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নির্দেশে ২৯ মে শনিবার দুপুর নাগাদ পৌরসভার গুদাম থেকে ত্রিপল লুট হয়।
একটি হাফ লরি নিয়ে এসে চার-পাঁচজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রিপল লুট করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সবরকম সাহায্য করেছেন পৌরসভার দুই কর্মী হিমাংশু মান্না এবং প্রতাপ দে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়ে রত্নদ্বীপ বলেন, ‘ত্রিপলের ব্যাপারে অভিযুক্ত দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা আমতা আমতা করেন, শুভেন্দু ও তার ভাই সৌমেন্দু নির্দেশে এই কাজ করেছেন বলে জানান।’
এ দিকে রোববার সেচ দপ্তরে দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সেচ দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে বহু লোকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রতারণার অভিযোগে নাম রয়েছে সেচ দপ্তরের আরেক সাবেক কর্মী চঞ্চল নন্দীর। তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার খোঁজে পুলিশি তল্লাশি চলছে জোরেশোরে।
রোববার শিয়ালদা আদালতে সরকারী কৌঁশলী জানান, ‘আর কারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত, কিংবা আরও কারও কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিল কি না, সেসব তদন্ত করে দেখার জন্য অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়ার সুপারিশ করে। আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে রাখাল বেরাকে ১২ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
রাখালের আইনজীবী বলেন, ‘উনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ ব্যাপারে এখনও কোনো কথা বলেননি।
শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন রাখালের সঙ্গে শুভেন্দুর কোনো সম্পর্কই নেই।’
তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ জানান, ‘কিসের প্রতিহিংসা হয়েছে? আমাদের তিন নেতা মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি।’