ডিউক অফ সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অফ সাসেক্স মেগানের দ্বিতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠের খবরে উল্লসিত হয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
বাকিংহাম প্যালেস স্থানীয় সময় রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যারি ও মেগান দম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রিন্স অফ ওয়েলস চার্লস ও ডিউক অফ ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম।
রানি এলিজাবেথের ১১তম পুতি লিলিবেট ‘লিলি’ ডায়ানা মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান্টা বারবারা শহরের এক হাসপাতালে জন্ম নেয়। জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল ৭ পাউন্ড ১১ আউন্স।
বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হ্যারি ও মেগানের কন্যাসন্তান জন্ম নেয়ার খবর পেয়েছেন রানি এলিজাবেথ, প্রিন্স অফ ওয়েলস চার্লস, ডাচেস অফ কর্নওয়াল কামিলা, ডিউক অফ ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অফ ক্যামব্রিজ ক্যাথরিন। তারা সবাই খুশি হয়েছেন।’
প্রিন্স হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লস ও ডাচেস অফ কর্নওয়াল কামিলা টুইটবার্তায় বলেন, ‘শিশু লিলিবেট ডায়ানার আগমনে হ্যারি, মেগান ও তাদের ছেলে আর্চিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তে তাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি।’
প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অফ ক্যামব্রিজ ক্যাথরিন বলেন, ‘শিশু লিলির আগমনবার্তায় আমরা সবাই আনন্দিত।’
কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠে হ্যারি ও মেগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটির লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টার্মার এই ‘অপূর্ব খবরকে’ স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের প্রেস সচিব রোববার এক বিবৃতিতে লিলিবেটের জন্মগ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান তাদের কন্যাসন্তান লিলিবেটকে স্বাগত জানিয়েছেন। মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন। তারা এখন বাড়িতে রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, হ্যারির দাদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে কন্যাশিশুটির নাম লিলিবেট রাখা হয়েছে। রানি এলিজাবেথের পারিবারিক ডাক নাম লিলিবেট।
হ্যারি ও মেগান দম্পতির আর্চি নামে দুই বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। লিলিবেট ব্রিটিশ সিংহাসনের অষ্টম উত্তরাধিকারী।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান বলেন, প্রাণপ্রিয় প্রয়াত দাদি প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি সম্মান জানিয়ে শিশুর নামের মাঝের অংশ ডায়ানা রাখা হয়েছে।
নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন আর্চওয়েলের ওয়েবসাইটে হ্যারি ও মেগান বলেন, ‘৪ জুন লিলির আগমনে আমরা সৌভাগ্যবোধ করছি। বিশ্বজুড়ে যারা আমাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন ও প্রার্থনা করেছেন, তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’
২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলে বিয়ে করেন হ্যারি ও মেগান। পরের বছর তাদের প্রথম সন্তান আর্চি হ্যারিসন মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর জন্মগ্রহণ করে।
গত বছর ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। রাজপরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ওই সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিস্মিত হয় গোটা বিশ্ব।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের ভাষ্য ছিল, রাজপরিবারের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বাবলম্বী হতে চান তারা। রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করতেও সম্মত হন হ্যারি ও মেগান।
এরপরই ছেলে আর্চিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন এই দম্পতি।