ভিসা স্থগিতাদেশের ১০ বছর পর পাকিস্তানের নাগরিকদের পরিবার ও ব্যবসা সংক্রান্ত ভিসা ফের দেয়া শুরু করেছে কুয়েত।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহর সঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদের বৈঠক শেষে ৩০ মে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থামের আলি সাবাহ আল-সালেম ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দারও উপস্থিত ছিলেন।
সফরে কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থামের আলির কাছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ চিঠি হস্তান্তর করেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ।
বৈঠকে কুয়েতের চিকিৎসা খাত ও তেলের খনিতে কাজের জন্য পাকিস্তানি শ্রমিকদের টেকনিক্যাল ভিসা দেয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।
উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত পাকিস্তানের নাগরিকেরা অনলাইনে কুয়েতের ভিসা পাবেন।
পাকিস্তানের নাগরিকদের ফের ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্তে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ রাশিদ।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ এখন কুয়েতে অনেক কাজের সুযোগ পাবে। ব্যবসা সংক্রান্ত ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।’
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসাই কুয়েত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ভিত্তি। সব পাকিস্তানিই কুয়েতকে নিজেদের দ্বিতীয় বাসস্থান হিসেবে দেখে।’
তিনি বলেন, ‘কুয়েতি ভিসায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাকিস্তানি পরিবার ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠী অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হয়। পাকিস্তানের শ্রমিকরা দেশটির শুরুর দিকের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল।’
এ বিষয়ে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ বলেন, পাকিস্তান ও কুয়েতের সম্পর্ক সাত দশকেরও পুরোনো। দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক আস্থা ও ভালোবাসার।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে পাকিস্তানের নাগরিকদের ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ করে কুয়েত। পরে কয়েকবার তা বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হলেও গত ১০ বছর স্থগিতাদেশ বহাল থাকে।