করোনা সংকট মোকাবিলায় রাজ্যের বণিকসভাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
নবান্নের সভা ঘরে বৃহস্পতিবার বণিকসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় সাহায্য ও অক্সিজেন তৈরির জন্য বণিকসভাগুললোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দুই তরফ থেকে ত্রাণ যাচ্ছে বলে কেউ বেশি পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। তাই দুদিক দিয়ে ত্রাণ না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করে একযোগে ত্রাণ পাঠানো উচিত।’
মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় জেলার বাজারহাটগুলোকে নিয়মিত স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি, মানুষের হাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার তুলে দেয়ার জন্য বণিক সভাগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বৈঠকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিশেষজ্ঞরা টিকাকরণে জোর দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন বণিকসভার বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্যে ইতোমধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে। বণিক সভাগুলোও টিকাকরণের কাজে এগিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের কর্মীদের টিকাকরণ করুন। আপনাদের জন্য যে টিকা লাগবে, সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দিন। সেই টাকায় টিকা কিনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দেবে রাজ্য সরকার।’
‘সবার কথা ভেবে, অন্য রাজ্যের মতো আমরা লকডাউন বা কারফিউ দেইনি। কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও নিয়ম মেনে দোকান বাজার খুলছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন।’
এবার করোনা বিধি মেনে কর্মীদের টিকা দিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁও বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য খোলা রাখতে পারবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, ‘সুপার স্প্রেডারদের টিকাকরণে জোর দেয়া হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় কলকাতার বাজারগুলোতে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এবার জেলার বাজারগুলোতেও টিকাকরণ চালু হওয়া উচিত। দুর্গত এলাকাগুলোতেও যেনো টিকা দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
‘ শ্রমিকদের টিকাকরণের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। রাজ্যে সংক্রমণের হার কমেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কম বয়সীদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। এক একটা গ্রামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে পারে বণিকসভা। এটা একটা মহান কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’