করোনা টিকা দেয়ার নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে ভারত সরকার।
টিকার দাম, অভাব ও গ্রামীণ জনগণের কাছে টিকা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাটকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘টিকার দামের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য একসঙ্গে বহু ডোজ কেনার জন্য তারা কম দামে পাচ্ছে। সেটাই যদি হয়, তবে রাজ্যগুলোকে কেন বেশি দাম দিয়ে টিকা কিনতে হবে? সারা দেশে একই দামে টিকা পাওয়া উচিত।’
ভারতে করোনার প্রধান দুটি টিকা কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দামে কিনতে হয় প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আদালতকে জানানো হয়েছিল, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব নাগরিককে টিকা দেয়ার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তিন বিচারপতির বেঞ্চ সরকারের টিকা নীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রশ্ন করে, এ ধরনের বৈষম্যমূলক পদ্ধতিতে সরকারের আশাপূরণ সম্ভব কি না।
আদালত জানতে চায়, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য সরকার টিকা সংগ্রহ করছে, অথচ ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের জন্য টিকা সংগ্রহ ব্যবস্থাকে দুই ভাগ করে রাখা হয়েছে। টিকা তৈরি করা সংস্থাগুলো রাজ্যগুলোকে ৫০ শতাংশ টিকা সরকার নির্ধারিত দামে, এবং বাকি টিকা বেসরকারি হাসপাতালকে দেবে। এই ব্যবস্থার ভিত্তি কী?
এই সমস্যাগুলো ও উদ্বেগের জবাব দিতে সরকারকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ।