ভারতের উত্তর প্রদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়া এক ব্যক্তির দেহ নদীতে ফেলেছেন স্বজনরা।
মর্মস্পর্শী এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কয়েক সপ্তাহ আগেও হাজার হাজার করোনা রোগীর মরদেহ গঙ্গা নদীর তীরে কোনোমতে মাটিচাপা দেয়া বা নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্বের অনেক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর প্রকাশ করে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় মৃতদের দেহ যাতে নদীতে ফেলা না হয়, তা নিশ্চিতে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে নির্দেশ দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এ ধরনের চর্চা বন্ধে নদীর তীরে পুলিশি টহল দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও নদীতে মরদেহ ফেলা ঠেকানো যাচ্ছে না। দারিদ্র্য ও সচেতনতার অভাবে এমনটি ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের বলরামপুর জেলার রাপ্তি নদীর সেতুতে শুক্রবার গাড়ি চালানোর সময় কয়েক ব্যক্তি একটি ভিডিও ধারণ করেন। এতে দেখা যায়, সেতুর ফুটপাতে দুই ব্যক্তি ব্যাগে রাখা একটি মরদেহ রেলিংয়ের ওপর টেনে তুলছেন । তাদের একজনের পরনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই)। ব্যাগ থেকে মরদেহটি বের করার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
এ নিয়ে বলরামপুরের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ভি ভি সিং বলেন, ওই মরদেহটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর। মৃতের স্বজনেরা দেহটিকে নদীতে ফেলার চেষ্টা করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ২৫ মে করোনা আক্রান্ত ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তিন দিন পর ২৮ মে তার মৃত্যু হয়। কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী, মৃতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
‘কিন্তু স্বজনেরা মরদেহটি নদীতে ফেলে দেন। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি নদীতে মরদেহ ফেলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
চলতি মাসের শুরুতে বিহার ও উত্তর প্রদেশে করোনায় মৃত শত শত মানুষের দেহ গঙ্গা নদীর তীরে কবর দেয়া হয়। বিহারের বক্সার শহরের নদীর তীর থেকে ৭১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গঙ্গার বালুচরে কবর দেয়া হাজার হাজার মরদেহ সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন বলেছিল, জোয়ারের সময় মরদেহগুলো ভেসে উঠতে পারে।