বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভ্যুত্থানকারী হলেন মালির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট

  •    
  • ২৯ মে, ২০২১ ১১:৩৮

অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শুক্রবার গোইতার নাম ঘোষণা করে মালির সাংবিধানিক আদালত। রায়ে বলা হয়, নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন গোইতা।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা কর্নেল আসিমি গোইতা।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শুক্রবার গোইতার নাম ঘোষণা করে মালির সাংবিধানিক আদালত।

রায়ে বলা হয়, নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন গোইতা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পাবেন বলে জানিয়েছেন আসিমি গোইতা।

এর আগে আটক হওয়ার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার মুক্তি পান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানে। আটক অবস্থায় ‘তারা পদত্যাগ করেছেন’ বলে দাবি মালির সেনাবাহিনীর।

সরকারের বিভিন্ন পদে রদবদল করে আসিমি গোইতাসহ গত বছরের সফল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয় দাও-উয়ানে সরকার।

এর ধারাবাহিকতায় ৯ মাসের মধ্যে সোমবার দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থান ঘটে মালিতে।

বেসামরিক শাসনে ফিরবে মালি?

গত বছরের আগস্টে সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির সাবেক নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও স্বৈরশাসক ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা ক্ষমতাচ্যুত হন। দুর্নীতি ও উগ্রবাদীদের দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে গণ-আন্দোলনের জেরে গোইতার নেতৃত্বে তরুণ সেনারা উৎখাত করেছিল কেইতাকে।

তখন থেকে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেয়া হয় দাও-উয়ানেকে। তাদের গঠিত সরকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন কর্নেল আসিমি গোইতা। এ ছাড়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয় আরও অনেক সেনা কর্মকর্তাকে।

কেইতার অপসারণকে মালির সাধারণ জনগণ স্বাগত জানালেও অন্তর্বর্তী সরকারে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল দেশটিতে। এ ছাড়া নতুন সরকারের দেয়া সংস্কারের আশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন ঘটছিল না মালিতে।

রদবদলের মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়া, এর জেরে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান ও দাও-উয়ানের আটকের ঘটনায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত মালির রাজনীতি।

গোইতার দাবি, নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

সন্ত্রাসী তৎপরতা ও আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়ার শঙ্কা

দাও-উয়ানেকে আটকের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আটকের ঘটনার নিন্দা জানায়। তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে মালির সেনাবাহিনীর প্রতি বারবার চাপ দিচ্ছিল পক্ষগুলো।

২০১২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কট্টরপন্থিরা ঘাঁটি গাড়ে মালির উত্তরাঞ্চলে। ২০১৩ সালে ইব্রাহিম কেইতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

সাবেক উপনিবেশ স্থাপনকারী রাষ্ট্র ফ্রান্স মালিতে শান্তিরক্ষার জন্য সেনাবাহিনী পাঠালেও সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত আছে।

দ্বিতীয় অভ্যুত্থানের ফলে মালিতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আল-কায়েদা ও আইএসের তৎপরতাও বাড়বে বলে শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা আরও বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ সদস্যের অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াস, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর