বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা বিধিনিষেধ বাড়ল পশ্চিমবঙ্গে

  • অসিত পুরকায়স্থ, কলকাতা   
  • ২৭ মে, ২০২১ ২০:০৮

১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধের লকডাউন জারি করেছিল রাজ্য সরকার। বিধিনিষেধের সময়সীমা ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ সামান্য কমলেও পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক। তাই বিধিনিষেধের সময়সীমা ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধের লকডাউন জারি করেছিল রাজ্য সরকার।

বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দয়া করে লকডাউন, কারফিউ এসব বলবেন না। বিধিনিষেধ জারি থাকছে, এটাই বলুন। কোভিড কিছুটা হলেও কমেছে। মানুষ সহযোগিতা করছেন। তাই আমরা একটু সময় নিচ্ছি। এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতি চালু রাখতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব চালু থাকছে। অনলাইন পরিষেবাও সচল থাকছে। আগের জারি করা বিধিনিষেধই বজায় থাকবে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কেউ বাইরে বের হবেন না। বাজার, মিষ্টির দোকান, শাড়ি, গয়নার দোকান নিয়ম মেনে খুলবে। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে চা বাগানগুলো কাজ করতে পারবে। জুট মিলের কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। টিকা নেয়া থাকলে কাজ করতে পারবেন নির্মাণকর্মীরা।’

রাজ্য সরকার আগে যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, ১৫ জুন পর্যন্ত সেই নির্দেশিকা জারি থাকছে। সরকারি-বেসরকারি গণপরিবহন বন্ধ থাকছে। লোকাল ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।

খোলা থাকবে পেট্রলপাম্প, গাড়ি মেরামতের দোকান, চশমার দোকান, ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। মুদি দোকান, বাজার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত যেমন খোলা থাকছে, থাকবে। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে ১০টা থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত। বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের জমায়েতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সৎকারের ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি জড়ো হতে পারবেন না ।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কড়া বিধিনিষেধের ফলে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। তাই বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

রাজ্য প্রশাসনের খবর, ১৪ মে রাজ্যে ২০ হাজার ৮৪৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৫ মে এ সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৫১১। কিন্তু কড়া বিধিনিষেধের পর সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৬ হাজার ২২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

এ বিভাগের আরো খবর