বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালির প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি চায় জাতিসংঘ

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ১৩:৩২

রাজধানী বামাকোর কাছে কাতি সেনা ঘাঁটিতে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে। মালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলায়মান দুকুরও আটক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনাবাহিনীর হাতে আটক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সংঘাতকবলিত দেশটির প্রেসিডেন্ট বাহ দাও ও প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানেকে সোমবার আটক করে সেনারা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই ঘটল এ ঘটনা।

রাজধানী বামাকোর কাছে কাতি সেনা ঘাঁটিতে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। মালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলায়মান দুকুরও আটক হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতে নয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সেনা অভ্যুত্থানের শঙ্কা দেখা গেছে মালিতে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমা টুইটারে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটির সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে যেকোনো সময়ে সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মুকতার উয়ানে। সংবাদকর্মীর সঙ্গে ফোনে তার কথা শেষ হওয়ার আগেই লাইন কেটে দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। নিঃশর্তভাবে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে মালির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

সরকারের বিভিন্ন পদে রদবদলের পরই আটক হন দুই নেতা। বলা হচ্ছে, গত বছরের অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দাও-উয়ানে সরকার।

গত বছর কেইতার অপসারণকে মালির সাধারণ জনগণ স্বাগত জানালেও অন্তর্বর্তী সরকারে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল দেশটিতে। এ ছাড়া নতুন সরকারের দেয়া সংস্কারের আশ্বাসের বাস্তব প্রতিফলন ঘটছিল না মালিতে।

২০১২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে উগ্রবাদীরা ঘাঁটি গাড়ে মালির উত্তরাঞ্চলে। ২০১৩ সালে ইব্রাহিম কেইতা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেও অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

ফ্রান্সের সেনাবাহিনী মালিতে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব নিলেও সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর