পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিকিট পাননি বলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সোনালী গুহ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার এক মাস যেতে না-যেতেই বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখেন সোনালী।
চিঠিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তিনি লেখেন, ‘জল ছাড়া যেমন মাছ বাঁচতে পারে না, তেমনি আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।’
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে টুইট করে সোনালী লেখেন, ‘অত্যন্ত ভগ্নহৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে চলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী সোনালী সাতগাছিয়ার সাবেক বিধায়ক। নিজের ভুল স্বীকার করে টুইট করে লেখেন, ‘দিদি, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলায় আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ দিন।’
সোনালী গুহর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওখানে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, এখানে এসেছিলেন। যদি কেউ সিদ্ধান্ত পাল্টায়, কিছু বলার নেই। দলে এ ব্যাপারে উনি কিছু জানাননি।’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোনালীর তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া নিয়ে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যারা তৃণমূল থেকে এভাবে দল ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, তাদের দল ফেরাবে কি না, ফেরালে কীভাবে ফেরাবে, সবার ক্ষেত্রে সমান সিদ্ধান্ত হবে কি না, নাকি ব্যক্তিগত ভূমিকা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিজেপি ছেড়ে অনেক মানুষ বেরিয়ে আসতে চাইছেন। কিন্তু দলের এটাও মনে রাখতে হচ্ছে, এ রকম একটা প্রতিকূলতার মধ্যে এরাই তো দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।’
এদিন সোনালী গুহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিজেপিতে দমবন্ধ পরিস্থিতি। মানুষমাত্রই ভুল করে। দিদি ডাকলেই দলে যোগ দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল আমার বাড়ি। বাড়িতে ফিরতে চাই।’