গাজার শাসক দল হামাস, সশস্ত্র আরেক সংগঠন ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে। এরপরই উল্লাস শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের। রাতেই তারা গাজার রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল করেছেন।
বিভিন্ন স্থানে পতাকা নিয়ে মিছিলের পাশাপাশি বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। সেই সঙ্গে তারা বিভিন্ন মসজিদ থেকে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বক্তব্য দেন।
সংঘাতের ১১তম দিনে মিসরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবারই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল।
১০ মে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাতে গাজায় ২৩২ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ৬৫ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৯০০ জন।
অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় ১২ জন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুদ্ধবিরতির মিসরীয় উদ্যোগে নিঃশর্ত সমর্থন জানানো হয়।
যুদ্ধবিরতির পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গাজার রাস্তায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির উল্লাস। ছবি: এএফপিআল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দেন চিফ অফ স্টাফ, অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সংস্থার প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ও জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রধানরা।
২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বেশি সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে গাজায়। সাধারণ মানুষই বেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপ দিতে থাকে। বিভিন্ন দেশও যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে থাকে।
যুদ্ধবিরতির পর গাজার রাস্তায় উল্লাসে ফেটে পড়েন নারীরা। ছবি: এএফপিহামাসের বিজয় দাবি
ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১১ দিনের যুদ্ধের পর অস্ত্রবিরতিকে বিজয় হিসেবে দেখছে হামাস।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শুক্রবার গাজা শহরে উদযাপনরত হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ এক নেতা।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সমবেত জনতার উদ্দেশে গাজা উপত্যকা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘এটি বিজয়ের উচ্ছ্বাস।’
ওই সময় তিনি ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দেন।