দুই-এক দিনের মধ্যে গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার আশা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা।
অন্যদিকে বুধবার আবারও ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র আগপর্যন্ত হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
অবরুদ্ধ গাজায় ১০ দিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন নারী ও ৬৪ জন শিশু।
১১তম দিনের মতো চলছে সহিংসতা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ভোরেই ১০০ দফার বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরাও।
এর আগে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে বুধবার আবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মিসরের নিরাপত্তাসূত্রের বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির মৌলিক কিছু শর্তে সম্মত হয়েছেন ইসরায়েল ও হামাস প্রতিনিধিরা। বিস্তারিত গোপন রেখে এখন শর্তের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা চলছে। অস্ত্রবিরতি কার্যকরে চলমান প্রচেষ্টা সফল হবে বলে আশাবাদী কায়রো।
এরপরই লেবাননের আল-মায়াদিন টিভিকে হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য মুসা আবু মারজুক বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যেই অস্ত্রবিরতির বিষয়ে আমি আশাবাদী। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।’
আল জাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত টোর উইনিজল্যান্ড কাতারে হামাস-প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
যদিও এত সব প্রচেষ্টার মধ্যেও গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত আছে। বুধবার রাতভর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামলা চালায়। দক্ষিণের খান ইউনিসে ধসিয়ে দেয় কমপক্ষে দুটি বাড়ি।
হামাস সদস্যদের বাড়িতে অস্ত্রের গুদাম ধ্বংসে এসব হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।