ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন নারী ও ৬৪ জন শিশু।
গাজায় ১১তম দিনে গড়িয়েছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। দেশটির দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি বিদ্রোহী।
অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ভোরেই ১০০ দফার বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার শাসক দল হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয় বলে দাবি তেল আবিবের।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতায় নিজ যোদ্ধাদের হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি হামাস। তবে পাল্টা জবাবে ইসরায়েলের দিকেও রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় চার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে গাজা থেকে।
এ কদিনের সহিংসতায় ২ শিশুসহ ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
মুসলমান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ভূমি খ্যাত অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল উত্তেজনা। এর জেরেই শুরু হয় সহিংসতা।
আল-আকসা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে হামাস। পাল্টা জবাবে ১০ মে থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
২০১৪ সালের পর অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলায় এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি হারিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদের মধ্যে ৪৭ হাজার মানুষের ঠাঁই হয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন স্কুলে।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রহীন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর সংখ্যা ৫৯ লাখের বেশি।
অবরোধে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ২০ লাখ বাসিন্দার গাজা উপত্যকা নতুন করে সহিংসতার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে অঞ্চলটিতে বোমা মেরে অর্ধশত স্কুল-হাসপাতালসহ ১০০-এর কাছাকাছি ভবন আংশিক বা পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান।
জ্বালানি সংকটে অঞ্চলটির মৌলিক সেবাও বন্ধের পথে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।