গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় গত ৯ দিনে ৫২ হাজার ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি হারিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এসব বাস্তুহারার মধ্যে ৪৭ হাজার জাতিসংঘের বিভিন্ন স্কুলে ঠাঁই পেয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা এবং গুলিতে ৯ দিনে গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রায় ১০০ নারী, ৬৩ শিশুসহ নিহত হয়েছে কমপক্ষে ২১৮ ফিলিস্তিনি।
বিপরীতে গাজার শাসক দল হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।
সংকট ঘনীভূত হতে থাকার মধ্যে দ্রুত সংঘাত বন্ধে প্রস্তাব পাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দিচ্ছে ফ্রান্স।
এক বিবৃতিতে দেশটি জানায়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ।
কনফারেন্সে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফ্রান্সের খসড়া প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন নেতারা।
এর আগে গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতি কার্যকরে নিরাপত্তা পরিষদের যৌথ বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ গাজায় সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারেও’ সমর্থন দিয়েছে দেশগুলো।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে মিসর।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রহীন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর সংখ্যা ৫৯ লাখের বেশি।
অবরোধে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ২০ লাখ বাসিন্দার গাজা উপত্যকা নতুন করে সহিংসতার মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনে অঞ্চলটিতে বোমা মেরে ৪০টি স্কুল ও চারটি হাসপাতাল ভবন আংশিক বা পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান। জ্বালানি সংকটে অঞ্চলটির মৌলিক সেবাও বন্ধের পথে।
ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল উত্তেজনা। এর জেরেই শুরু হয় সহিংসতা।
আল-আকসা থেকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে হামাস। পাল্টা জবাবে ১০ মে থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলা চলছে গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে।
যতক্ষণ প্রয়োজন, পূর্ণ শক্তিতে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।