করোনাভাইরাস মহামারিতে মা-বাবা হারানো শিশুদের ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নেয়ার কথা জানিয়েছেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ পরিবারের মাঝে মঙ্গলবার বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণার সময় এ কথা বলেন কেজরিওয়াল।
তিনি বলেন, ‘মহামারিতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হারিয়েছে এবং এতিম হয়েছে এমন শিশুরা ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে ২,৫০০ রুপি দিল্লি সরকারের কাছে থেকে পাবে। তাদের শিক্ষা পুরোপুরি অবৈতনিক করা হয়েছে।’
টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘মহামারিতে অনেক শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। এমন এতিমদের নিজেদের নিঃস্ব ও অসহায় ভাবার কারণ নেই। আমি তাদের পাশে থাকব সব সময়।’
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ পেয়েছে।
কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে দেয়া এককালীন ৫০ হাজার রুপির বরাদ্দ এর বাইরে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী স্বামী যদি করোনায় মারা যান তবে বেঁচে যাওয়া স্ত্রী এই অর্থ সহায়তা পাবেন। আমরা বুঝতে পারি স্বজনহারা পরিবারের আহাজারি। আমরা তাদের আপনজনদের পারিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে আমরা স্বজনহারা পরিবারের পাশে আমাদের সাধ্যমতো সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারব।’
কেজরিওয়াল আরও জানান মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৭২ লাখ পরিবার প্রতি মাসে ১০ কিলোগ্রাম করে বিনা মূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাবেন। এর অর্ধেক দেবে তার দল আম আদমি পার্টি। আর বাকি অর্ধেক রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে দেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিও। কয়েক সপ্তাহ আগেও সেখানে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে ৩০ হাজার। গত সোমবার থেকে শনাক্তের সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচ হাজারের নিচে।