নারদা স্টিং অপারেশন কেলেংকারিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের গ্রেপ্তার নেতা ও পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাবেক মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর জামিন স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার শুনানি বুধবার।
গ্রেপ্তারদের পক্ষে আইনজীবীরা মঙ্গলবারই শুনানির আবেদন জানালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শুনানি বুধবার হবে বলে জানিয়ে দেন ।
সোমবার সকালে নারদা কেলেংকারিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং দুই সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) বাড়ি থেকে তুলে সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তারপত্রে সই করান।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সিবিআই অফিসে প্রায় ৬ ঘন্টা বসে থাকেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাকেও গ্রেপ্তার করা হোক।’
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিবিআই অভিযুক্তদের আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করে। চার অভিযুক্তকে নিম্ন আদালত জামিন দিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় পরে হাইকোর্ট সিবিআইয়ের আবেদন গ্রহণ করে সন্ধ্যের পরে শুনানি শুরু করে। এবং হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের চার অভিযুক্তের জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
রাতে পুলিশ প্রহরায় চার নেতাকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোরের দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্র, শোভন চ্যাটার্জির। তাদেরকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। দুজনের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
সকালে সুব্রত মুখপাধ্যায় অসুস্থবোধ করলে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফিরহাদ হাকিম প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। তার জ্বর হয়েছে। ফিরহাদ কন্যা সাব্বা হাকিম বলেন, এই করোনা সংকটে মানুষের প্রয়োজনে লাগতে পারছেন না বলে, তার বাবা ভেঙে পড়েছেন।
বুধবার হাইকোর্টে সিবিআইর করা মামলার পাশাপাশি চার নেতার জামিনের স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনা মামলারও শুনানি হবে।