ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সহিংসতার সপ্তম দিনে গাজায় আবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৩ শিশুসহ অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার ভোরে এ হামলা হয় বলে রয়টার্স ও এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত সোমবার থেকে চলমান সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৮৮ ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ৫২ শিশু।
অন্যদিকে হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ১০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে রোববার সকালে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৯০টির বেশি স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ধসে পড়া ভবন থেকে হতাহতদের উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছেন ফিলিস্তিনের উদ্ধারকর্মীরা।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি শনিবার গাজায় আল জাজিরা ও এপির কার্যালয়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে রোববার প্রায় ৩ হাজার রকেট ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এগুলোর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪০০ রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাজাতেই পড়ে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী আইরন ডোম ফিলিস্তিনের ১ হাজারের বেশি রকেট নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।
জেনেভাভিত্তিক মানবিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস জানিয়েছে, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে লড়াইয়ের এত তীব্রতা এর আগে কখনও দেখিনি আমরা। ঘনবসতিপূর্ণ গাজা ও ইসরায়েলের বড় শহরে বিরামহীনভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। ফলে দুই পক্ষই শিশুদের মৃত্যু দেখছে।’