গাজায় সপ্তম দিনের মতো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এই সাত দিনে গাজায় নিহত হয়েছে ১৪৯ জন। এর মধ্যে ৪১ জনই শিশু।
উপত্যকায় রোববারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আবাসিক এলাকার একটি ভবনে ভোরে হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
এ ছাড়া ওই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সে হামলায় অন্তত দুটি ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় ইসরায়েল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ারের বাড়িকেও লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে ইসরায়েলের তেল আবিবে হামাসের রকেট হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে লোকজন। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাসের রকেট আটকে দিতে আকাশ সুরক্ষা সিস্টেম ‘আইরন ডোম’ ব্যবহার করছে।
গাজায় এক শরণার্থী শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ শিশুসহ ১০ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল আরেকটি বড় হামলা চালায় মিডিয়া ভবনে।
ওই ভবনে আল জাজিরা, এপিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দপ্তর ছিল।
এক টেলিভিশন ভাষণে শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন হবে, গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে।’
দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ছবি: এএফপি
হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, ইসরায়েলি হামলায় প্রতিরোধ চলবেই।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৪৯ ফিলিস্তিন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৪১ জনই শিশু। আর এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৯০০ ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে সহিংসতা ছড়িয়েছে দখলকৃত পশ্চিম তীরেও। সেখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বিষয়ে রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।