ফিলিস্তিনের গাজায় একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। হামলায় বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া সহিংসতা ছড়িয়েছে পশ্চিম তীরে। সেখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে শনিবার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আল-জাজিরা বলছে, গাজায় সাথী নামের এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় জনে। নিহতের মধ্যে দুইজন নারী ও সাতজনই শিশু।
এ ছাড়া আরও অনেকেই ধংসস্তুপের মধ্যে চাপা পড়ে আছে বলে। সেই হামলায় সদ্যজাত এক শিশুসহ আহত হয়েছে ১৫ জন।
ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, আরও শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে।
দখল করা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে গুলি করছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি: এএফপি
সংহিসতা ছড়িয়েছে পশ্চিম তীরে
গাজার পর এবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে দখলকৃত পশ্চিম তীরেও। সেখানে দফায় দফায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ফিলিস্তিনিদের।
পশ্চিম তীরে শুক্রবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
অন্যদিকে বিবিসি বলছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১০।
নিহত ও আহতদের কাঁধে নিয়ে ফিলিস্তিনিরা শনিবার সকালে পশ্চিম তীরের হাওয়ারা চেকপয়েন্টের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
শনিবার ভোর থেকেই ফিলিস্তিনিরা হাওয়ারা চেকপয়েন্টের সামনে জড়ো হতে থাকে। গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের জন্য দোয়া ও সমাবেশ করে।
গাজায় এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত হয়েছে নয়জন। ছবি: এএফপি
সেখানে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ সমাবেশে একসময় গুলি চালায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।
১১ জন নিহতের পর দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়ায়। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।
শান্তি আলোচনায় ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূত
ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সহিংসতা বন্ধে আলোচনা করতে তেল আবিবে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন দূত।
যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাডি আমর ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন।
শান্তি আলোচনায় সব পক্ষকে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে আমর ইসরায়েলে পৌঁছেন। রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগের দিন তেল আবিব গেলেন তিনি।
ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সফরের লক্ষ্য একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা।
এরই মধ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নেতাদের কাছে যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আবেদন ব্যর্থ হয়েছে।
নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সব পক্ষকে বুঝিয়ে যুদ্ধবিরতিতে যেতে পারবেন কি না সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর মধ্যপ্রাচ্যে জোর কূটনীতিকে অগ্রাধিকার না দিলেও এখন দিতে হচ্ছে এই সংহিসংতাকে কেন্দ্র করে।
মধ্যস্থতার কাজে আমর খুব বড় মাপের কোনো কর্মকর্তা নন। এমনকি অতীতের এমন কাজে তার কোনো রেকর্ডও নেই।