বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলকে সমর্থন: যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় কংগ্রেস সদস্যরা

  •    
  • ১৫ মে, ২০২১ ১৩:২৬

কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, ‘এটি এমন এক সংঘাত যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের টাকায় ও সহায়তায় একটি রাষ্ট্র অন্যদের ওপর অবৈধ সামরিক আগ্রাসন জারি রেখেছে।’

ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেয়ার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের কয়েকজন সদস্য। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবারআল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ ইস্যুতে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস। আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার জবাবে দেশটিতে রকেট হামলা চালায় হামাস। এরপরই আত্মরক্ষার অজুহাতে অবরুদ্ধ গাজায় বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে ৩৬ জনই শিশু।

শুরু থেকেই ইসরায়েলি হামলাকে আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে এতে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা।

বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিখেন, ‘সন্ত্রাসী হুমকির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের। ইসরায়েলে সাধারণ নাগরিকরা প্রতি মুহূর্তে রকেট হামলার ভয়ের মধ্যে বাস করছেন। এটি মেনে নেয়া যায় না।’

শুক্রবার কংগ্রেসে দেয়া বক্তব্যে জো বাইডেনের ইসরায়েলপ্রীতির সমালোচনা করেন তারই দলের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তিয়াব। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হয়েছে, তাতে ফিলিস্তিনিদের মানবিক অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।

কংগ্রেসের একমাত্র ফিলিস্তিনি-আমেরিকান এই সদস্য বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, জেনারেল লয়েড অস্টিনের বিবৃতি পড়লে মনে হয়, ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বই নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলায় কীভাবে ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হচ্ছেন সেটি নিয়ে কিছু বলা নেই। শিশুদের আটক ও খুন নিয়েও কোনো কথা নেই। রমজানের মতো পবিত্র মাসে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলের হামলাও স্বীকার করা হয়নি। একইভাবে আল আকসায় প্রার্থনারত মানুষরা কীভাবে সহিংসতা, টিয়ার গ্যাস ও ধোঁয়ার মুখোমুখি হয়েছে সেটিও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।’

একই সেশনে আরেক কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, ‘১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর ফিলিস্তিনিদের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ওই সময় থেকে প্রায় ৬০ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। এটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম বড় শরণার্থী সংকট।’

ইলহান বলেন, ‘এটি এমন সংঘাত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের টাকায় ও সহায়তায় একটি রাষ্ট্র অন্যদের ওপর অবৈধ সামরিক আগ্রাসন জারি রেখেছে।’

আরেক কংগ্রেসওম্যান আয়ানা প্রেসলি বলেন, ‘আমাদের সরকার ইসরায়েলে প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা পাঠিয়েছে। এটি নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা নিয়েই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের আটক করছে এবং তাদের পরিবারকে উচ্ছেদ করছে। এই বাজেট আমাদের মূল্যবোধেরই আরেক রূপ।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বললেন ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, ফিলিস্তিনিদের বাঁচার অধিকার রয়েছে কি না? এই অধিকারে বিশ্বাস করলে আমাদের সেটির জন্য কাজও করতে হবে।’

ডেমোক্র্যাটিক দলের আরেক কংগ্রেস সদস্য মার্ক পোকান বলেন, ‘প্রতিবাদ করুন, কেননা ফিলিস্তিনিরা যেভাবে তাদের জীবন, স্বাধীনতা ও মর্যাদা হারাচ্ছে সেটি কারও ক্ষেত্রেই হওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ের সময় আপনি যদি নিরপেক্ষ সাজেন, তাহলে আপনি জালিমের পক্ষে।’

এদিকে গত দুই দিন থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, গাজায় বিমান হামলার পর স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত আরও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। যুক্ত করেছে অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ বেশ কিছু ট্যাংক।

শুক্রবারের পর শনিবারও গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

বিমান হামলা থেকে বাঁচতে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর