পশ্চিমবঙ্গে অক্সিজেনের অপচয় রুখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
বুধবার জারি করা এই নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড রোগীদের অক্সিজেন ৯২ শতাংশ-৯৬ শতাংশ স্যাচুরেশনে রাখতে হবে। ৯৬ শতাংশ স্যাচুরেশন হয়ে গেলে, আর অক্সিজেন দেয়ার দরকার নেই। রোগী সুস্থ থাকবেন।
স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের সব হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে অক্সিজেনের মজুত ও সরবরাহের দায়িত্ব সুনিশ্চিত করতে বলেছে। পুরো প্রক্রিয়াটির দায়িত্বে থাকবেন একজন কর্মকর্তা। নির্দেশিকায় প্রতিটি হাসপাতালকে অক্সিজেন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব একজন নার্সকে দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের অক্সিজেন ঘাটতির কথা উল্লেখ করে চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনটি চিঠি লেখেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে মরিয়া মানুষ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নানা ভোগান্তির স্বীকার হন। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তারা টিকা পাননি বলে অভিযোগ তুলছেন। টিকা দেয়া হবে ৩০০ জনকে। আর লাইনে দাড়াচ্ছেন ৫০০ জন।
দ্বিতীয়ত ডোজের টিকা পেতে বহু মানুষ হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। রাজ্য সরকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেতে যাতে মানুষকে অসুবিধায় পড়তে না হয় তার জন্য প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার সার্টিফিকেট দেখালে কোন কোন হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়া যাবে তা নির্দিষ্ট করে দিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
কলকাতা ময়দানে টিকা দেয়া নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেখানে পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে পরিবহন কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু একসঙ্গে বহু মানুষ লাইনে এসে দাঁড়ানোয় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ হাজার ১৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৯৪ জন ।