হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজের কাছাকাছি আসায় ইরানের একটি নৌবহরের দিকে ৩০ দফা গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। ইরান অবশ্য পেন্টাগনের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মঙ্গলবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি সামরিক জাহাজের সাড়ে চার শ ফুটের মধ্যে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডের নৌবাহিনীর ১৩টি জাহাজ এলে সতকর্তামূলকভাবে গুলি চালানো হয়।
তিনি বলেন, ইরানের জাহাজ চলে যাওয়ার আগেই ০.৫০ ক্যালিবারের মেশিনগান থেকে গুলি ছোড়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ থেকে ২৭৪ মিটারের মধ্যে ইরানের জাহাজ চলে এলে প্রথম ধাপে গুলি শুরু হয়। পরে ১৩৭ মিটারের মধ্যে ইরানের জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এলে পরের ধাপে গোলাগুলি হয়। জন কিরবি বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য যে, তারা (ইরান) অনেক আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এত বেশিসংখ্যক ইরানের জাহাজ এর আগে হরমুজ প্রণালীতে দেখা যায়নি।’
তবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের দাবি নাকচ করেছে ইরান।
দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী’ নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ হেলিকপ্টার ওড়ানো, আলোর শিখা নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ার মতো ‘অপেশাদারসুলভ’ আচরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ থেকে আইন অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রাখে ইরানের জাহাজ। অসামঞ্জস্য আচরণ দেখে দেশটির নৌবাহিনীকে সতর্কও করা হয়। পরে তারা দিক পরিবর্তনে বাধ্য হয়।
গোলাগুলির বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্রের দাবির সমালোচনা করে ইরানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে দেশটি তাদের ‘বেপরোয়া’ আচরণের দায় ঢাকার চেষ্টা করছে।