বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আস্থা ভোটে হেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পতন

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ২১:১৪

এবার সাংবিধানিক নিয়ম মেনে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে হতে পারে। কমপক্ষে ৩৮ মাস প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন কে পি শর্মা অলি। তার দায়িত্বকালে বেশ কিছু বিতর্ক জন্ম নেয়। এর মধ্যে সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ ছিল অন্যতম। এ বিরোধে চীনের উসকানি ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।

সোমবার দেশটির হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে ২৩২ আইনপ্রণেতার মধ্যে অলির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৯৩ জন, বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২৪টি। এ সময় ১৫ জন ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।

আস্থা ভোটে জিততে হলে অলির প্রয়োজন ছিল কমপক্ষে ১৩৬টি ভোট।

এবার সাংবিধানিক নিয়ম মেনে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে হতে পারে।

কাঠমাণ্ডু পোস্ট ও মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে অলির জোট থেকে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সরে যাওয়ার পর আস্থার সংকটে পড়ে ক্ষমতাসীন দলটি। একই সঙ্গে দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি যথাযথভাবে সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো।

রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। এর পর এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হারতে হয়েছে।

কমপক্ষে ৩৮ মাস প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন কে পি শর্মা অলি। তার দায়িত্বকালে বেশ কিছু বিতর্ক জন্ম নেয়। এর মধ্যে সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ ছিল অন্যতম। এ বিরোধে চীনের উসকানি ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অলির এমন অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করে ভারত সরকার। এ সময় অলির নিজের পার্টি নেপালি কংগ্রেসের নেতারাও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে এই বৈরী সম্পর্কের জন্য অলির সমালোচনা করেন। আর তখন থেকেই নিজ দলের পাশাপাশি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে অলির নিয়ন্ত্রণ কমতে শুরু করে।

এর আগে, আস্থা ভোটে ভোটদানে বিরত ছিলেন অলির দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া জালানাথ কানালের একাংশ সিপিএন-ইউএমএলের এমপিরা।

ভোটে জনতা সমাজবাদী দলের এমপিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। মোহান্থা ঠাকুরের নেতৃত্বে ১৫ জন এমপি ভোটদানে বিরত ছিলেন। অন্যদিকে উপেন্দ্র ইয়াদেবের নেতৃত্বে একাংশ অলির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

পালার্মেন্টের স্পিকার অগ্নি সাপকোটা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত মোশনটি আস্থা ভোটে টিকতে পারেনি। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের পরবর্তী বৈঠক বসবে বৃহস্পতিবার।’

আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর হারের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ৭৬ ধারার ২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিতে পারবেন। এ সময় তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে পালার্মেন্টে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের দায়িত্ব বণ্টন করতে পারবেন।

এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মাওপন্থির সমর্থনে নেপালি কংগ্রেসের সুযোগ রয়েছে নতুন সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর