আল-আকসা মসজিদ চত্বরে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘হামলা’ বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।
দেশটি বলেছে, জেরুজালেমে যেকোনো সহিংসতার দায় নিতে হবে ইসরায়েলকে।
স্থানীয় সময় সোমবার সকালে তুরস্কের পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য দেয়া হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন টুইটবার্তায় বলেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে পবিত্র মসজিদ এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। যেকোনো ধরনের সহিংসতার জন্য ইসরায়েল পুরোপুরি দায়ী থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘নিজেদের মাটিতে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অনন্তকাল ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্বকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এর আগে শনিবার ইসরায়েলকে ‘নির্দয় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘নীতি-নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে বর্বরের মতো ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলে পড়েছে ইসরায়েল।’
২০১০ সালে তুরস্কের জাহাজের বহর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে দেশ দুটির সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
এদিকে রোববার বিকেলে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ইসরায়েলের কনস্যুলেটের বাইরে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে।
সোমবার ভোরে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে হানা দেয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। ওই সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের মধ্যে প্রায় ৫০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও রেড ক্রিসেন্টের ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধ শেষে জেরুজালেমের প্রাচীন শহর দখলে নেয় ইসরায়েল। এ উপলক্ষে ৯ মে বিকেল থেকে পরের দিন ১০ মে বিকেল পর্যন্ত ‘জেরুজালেম দিবস’ হিসেবে পালন করে ইসরায়েল। এ দিবসকে ঘিরে চলমান সহিংসতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ভেবেছিলেন, সোমবার আল-আকসা মসজিদে শান্তিতে ফজরের নামাজ পড়তে পারবেন তারা। কিন্তু ওই সময় কয়েক শ ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদটির চত্বরে হানা দিলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ।
ওই সময় ২০৫ ফিলিস্তিনি ও ১৮ ইসরায়েলি পুলিশের কর্মকর্তা আহত হয়। পরের দুই দিনও অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ হয়। আহত হয় অনেকে।