পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধরনের জয় পাওয়ার পর তৃতীয়বারের মতো শপথ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা।
এবারের মন্ত্রিসভায় নারীশক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি ছাড়াও আটজন নারী এই মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এবারের মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৪৩।
সোমবার রাজভবনে থ্রোন রুমে সংক্ষিপ্ত ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে শপথ নেন ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রীসহ ৪৩ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। বাকিরা প্রতিমন্ত্রী।
অসুস্থতার কারণে অমিত মিত্র ভার্চুয়ালি শপথ গ্রহণ করেন। তিনি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাকে এবারও অর্থমন্ত্রী করা হবে বলে জানা গেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনা হবে। এ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে ব্রাত্য বসু ও রথীন ঘোষ পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ভার্চুয়ালি শপথ নিয়েছেন।
শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ৪৩ জনের মন্ত্রিসভার তালিকায় ১৭ জন নতুন মুখ এসেছে।
দপ্তর বণ্টন সম্পর্কে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়াও মমতা নিজের হাতেই রেখেছেন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য-বিষয়ক, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি দপ্তর। সেই সঙ্গে ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন এবং উদ্বাস্তু উন্নয়ন দপ্তর থাকবে মমতার হাতে।
তবে এবার আর সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর নিজের হাতে রাখেননি মমতা। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ গোলাম রব্বানিকে সেই দায়িত্ব দেয়া হবে। শিক্ষা থাকবে ব্রাত্য বসুর হাতেই।
বেশ কয়েকজন নারীমুখ দেখা গেছে মমতার মন্ত্রিসভায়। নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর মমতা বলেছিলেন, এই জয় বাংলার নারীশক্তির জয়। মন্ত্রিসভায় তারই স্বীকৃতি দিলেন তিনি।
শপথ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি সংগৃহীত
এদের মধ্যে রত্না দে নাগকে দেয়া হয়েছে পরিবেশ দপ্তর। কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা হচ্ছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়াও রয়েছেন বুলু চিক বারিক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সন্ধ্যা টুডু। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শিউলি সাহা, সাবিনা ইয়াসমিন ও জ্যোৎস্না মান্ডি।
এর আগে ৫মে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।