বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে স্কুলে বোমা হামলায় নিহতদের দাফন শুরু

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১১:১০

বোমা হামলায় নিহত মেয়েদের কফিন কবরে নামানোর সময় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

আফগানিস্তানে মাধ্যমিক এক স্কুলের কাছে পরপর তিনটি বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের দাফনকাজ শুরু হয়েছে।

রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে দাশত-ই-বারচি এলাকার ‘শহিদের কবরস্থান’কে তাদের দাফনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওই এলাকায় স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে বোমা হামলায় ৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। তাদের বেশির ভাগই মেয়েশিক্ষার্থী। ওই সময় আহত হয় দেড় শতাধিক মানুষ।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেন, স্কুলের সামনে প্রথমে গাড়িবোমার বিস্ফোরণ হয়। ওই সময় স্কুল ছুটি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে স্কুলভবন থেকে বের হচ্ছিল। এরপর স্কুলের কাছাকাছি জায়গায় আরও দুটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বোমা হামলায় নিহত মেয়েদের কফিন কবরে নামানোর সময় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বোমা হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে সুন্নি কিছু সশস্ত্র বাহিনী ওই এলাকায় এর আগে বেশ কয়েকবার হামলা চালায়।

শনিবারের হামলার ঠিক এক বছর আগে দাশত-ই-বারচি এলাকার একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়।আফগানিস্তানে শনিবারের বোমা হামলার মূল লক্ষ্য কারা ছিল, তা পরিষ্কার করে জানা যায়নি।

জঙ্গি সংগঠন তালেবান স্কুলের কাছে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ আফগান সরকারের। তবে হামলায় সংশ্লিষ্টতার দায় নাকচ করেছে সংগঠনটি।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত সব দেশ তাদের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজেদের সব সেনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।

কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকাটিতে মূলত সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। তাদের পূর্বপুরুষ মঙ্গোলিয়া ও মধ্য এশিয়ার। হাজারাদের বেশির ভাগই শিয়া মুসলমান।

আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে কেনাকেটায় ব্যস্ত ছিল দাশত-ই-বারচি এলাকার মানুষ। ওই সময়ই হামলা হয়।

স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি সেখানে মৃতদেহের স্তূপ।’

জারা নামের এক স্কুলশিক্ষার্থী বলে, ‘আমার ক্লাসমেটরা মারা গেছে। প্রথম বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট পর আরেকটি বিস্ফোরণ হয়।

‘এরপর আবার বিস্ফোরণ। সবাই চিৎকার করছিল। চারদিক রক্তে ভেসে যায়।’

রোববার তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস শেষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি পালন করবে তারা।

এ বিভাগের আরো খবর