ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে নজিরবিহীনভাবে এক সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রোববার লেখা চিঠিতে মমতা চিকিৎসা সরঞ্জামে আমদানি শুল্ক মওকুফ, করোনার ওষুধে জিএসটি মওকুফ এবং অক্সিজেনকে করমুক্ত করার অনুরোধ জানান।
মানুষকে উন্নত পরিষেবা দেয়ার জন্য কোভিড কর সংক্রান্ত অন্যান্য নিয়মকানুন শিথিল করার আবেদন জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর রোববারের চিঠিতে।
এক সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
এর আগে বুধবার শয্যাসংখ্যা বাড়ানো এবং টিকার জোগান বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। ওই চিঠিতে রাজ্যে প্রতিদিন ১০ হাজার রেমডিসিভিরের ব্যবস্থা করার আবেদন জানান তিনি।
শুক্রবারের দ্বিতীয় চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী তার রাজ্য অক্সিজেন পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে রাজ্যের বরাদ্দ দেয়া ৩ লাখ ৬৬ হাজার টিকার ১ লাখ ডোজ টিকা কলকাতায় এসে পৌঁছেছে। রোববার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই টিকা।
অন্যদিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিতে রোববার ভোর ৪টা থেকে মানুষ লাইনে দাঁড়ান। ২০০ জনকে কোভিশিল্ড এবং ১০০ জনকে কোভ্যাকসিন দেয়ার কথা বলা হলেও কিছু লোককে টোকেন দিয়ে বাকি লোককে সরিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন লাইনে দাঁড়ানো টিকাপ্রার্থীরা। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাধে। পৌর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘টিকার আকাল চলছে। তাই সবাইকে এই মুহূর্তে টিকা দেয়া যাচ্ছে না । টিকার জোগান বাড়ানোর খুব চেষ্টা করছি আমরা। সবাই টিকা পাবেন।’
করোনা রোগীর দেহ সৎকারে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সরকার নিযুক্ত নোডাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেই স্থানীয় শ্মশান বা কবরস্থানে দেহ সৎকার করা যাবে।
এদিকে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। কলকাতায় মারা গেছেন ২৭ জন। এত দেহ সৎকারের সমস্যা মেটাতে এবার কলকাতা পৌরসভা শনিবার মধ্যরাত থেকে নিমতলা ঘাট শ্মশানকে পুরোপুরি কোভিড সৎকারের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।