পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেয়ার পর বিধানসভায় প্রথম বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভায় শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা দিলে সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া যেত। সেখানে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সংসদ ভবন তৈরি করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, ‘বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচারের পাল্টা তৃণমূলের ডাবল সেঞ্চুরি। দেখবেন এলাকায় যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। নজর রাখুন। কেউ সহিংসতা করতে চাইলে থানায় এফআইআর করুন।’
মমতা বলেন, ‘বাংলা নিয়ে যেসব ভিডিও পোস্ট হয়েছে, তার ৯৯ শতাংশ ভুয়া। মানুষকে বোঝান, এসব মিথ্যা প্রচার। নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় কোথাও কোথাও কারচুপি হয়েছে। নির্বাচনি আইনের সংস্কার হওয়া উচিত।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৪৬ বছরের ইতিহাসে বিধানসভায় এ প্রথম কংগ্রেস ও বামরা নেই। বহিরাগতরা রাজ্যে এলে করোনা প্রটোকল মেনে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আজও যারা অহংকারী, তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।
‘আজ বিধানসভায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও অধ্যক্ষ নির্বাচনের অনুষ্ঠান ছিল। রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ না হলে বিধানসভা বয়কট করে যাবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। এটি সৌজন্যবোধের অভাব।’
এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্রসচিব ব্যর্থ উল্লেখ করে শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যসচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
শনিবার সকালে দুবরাজপুরের পাঁচড়া গ্রামে তৃণমূল পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে তাদের কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে।
দুবরাজপুরের মুক্তিনগরে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। নয়জন তৃণমূল কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, ফল ঘোষণার পর বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের বাইকবাহিনী।