ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করে বলেছেন, তার রাজ্যকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টো তার রাজ্যের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবারও লেখা এক চিঠিতে এ অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা তৃণমূলের নেত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে অক্সিজেন চেয়ে শুক্রবার লেখা ওই চিঠিতে মমতা অভিযোগ করেন, রাজ্যের চাহিদামতো অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে না । উল্টো গত ১০ দিনে রাজ্যের উৎপাদিত অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যকে কেন্দ্র দিনে ৩০৮ মেট্রিকটন অক্সিজেন দিচ্ছে।
মমতা ব্যানার্জি
চাহিদার তুলনায় কম অক্সিজেন পাওয়ার বিষয়ে চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, প্রতিদিন ৪৫০ টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭০ টন অক্সিজেন লেগেছে। আগামী সাত-আট দিনে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে হবে ৫০০ টন।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে রাজ্যের চাহিদামতো অক্সিজেন দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
এদিকে অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
এদিকে মালদার মানিকচকে বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে রেখে ছেলে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে গেছেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য দপ্তর খবর পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসাতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত আরেক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে হুগলির চুঁচুড়ায়। তার ছেলে-বৌমাও করোনায় আক্রান্ত। তারা শহরের অন্য প্রান্তে থাকেন। মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে জানালে তারা গিয়ে দেখে বৃদ্ধা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। পরে দরজা ভেঙে বৃদ্ধাকে বের করা হয়। ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে সুখবর হচ্ছে, বৃহস্পতিবার চীন থেকে এসেছে ৪৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করে। চিকিৎসকরা মনে করেন, অক্সিজেন সংকট মেটাতে এই যন্ত্র কার্যকর হবে।