আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো।
তবে পূর্ণাঙ্গ সেনা প্রত্যাহারে লেগে যাবে চার মাস।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের যুদ্ধে ইতি টানতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কয়েক হাজার সেনা।
গত মঙ্গলবার সেনা প্রত্যাহার শুরুর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে নিয়োজিত সব আমেরিকান সেনাদের দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয় সেদিন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে তালেবানের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুসারে ১ মে’র মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল ওয়াশিংটনের।
নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সময়সীমা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা নতুন মাত্রা নিয়েছে।
শুক্রবারও আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় লগার প্রদেশের একটি গেস্ট হাউজের কাছে শক্তিশালী আত্মঘাতী ট্রাকবোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯১ জন। প্রাদেশিক রাজধানী পুল-ই-আলমে স্থানীয় সময় ৭টার দিকে ইফতারের সময় হামলাটি হয়।
আত্মঘাতী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।
তবে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সময় বাড়ানোর ফলে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষোভ জানিয়ে আসছিল আফগানিস্তানের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তালেবান। আগেই জানিয়েছে, হামলা বন্ধ রাখার সমঝোতা আর মানতে বাধ্য নয় তারা।
এর আগে তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা বণ্টনের প্রস্তাব দেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। শর্ত দেন, এ জন্য যুদ্ধের পথ ত্যাগ করতে হবে সংগঠনটিকে।