বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে কারামুক্ত আরও ২৩ হাজার কয়েদি

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১০:১২

গত ফেব্রুয়ারিতেও প্রায় একই সংখ্যক কয়েদিকে মুক্তি দেয় মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার। সে সময় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর শঙ্কা ছিল, বিক্ষোভ দমনের কৌশল হিসেবে এবং বিক্ষোভকারীদের জন্য কারাগারগুলোতে স্থান সংকুলানে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ২৩ হাজারের বেশি কয়েদিকে আগাম মুক্তি দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের নির্বিচার ধরপাকড়ের মধ্যেই এ পদক্ষেপ নিল সেনারা।

ক্ষমা পাওয়া বন্দিদের মধ্যে বিক্ষোভকারীরা আছেন কি না, তা জানা যায়নি।

বৌদ্ধ বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী নতুন বছর উপলক্ষে শনিবার মুক্তি দেয়া হয় বিপুলসংখ্যক কয়েদিকে। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকেই মুক্তি পেয়েছেন আট শতাধিক কয়েদি।

মুক্তি পাওয়া ১৩৭ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। এ ছাড়া সাজা কমানো হয়েছে অনেকের।

গত ফেব্রুয়ারিতেও প্রায় একই সংখ্যক কয়েদিকে মুক্তি দেয় মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার। সে সময় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর শঙ্কা ছিল, বিক্ষোভ দমনের কৌশল হিসেবে এবং বিক্ষোভকারীদের জন্য কারাগারগুলোতে স্থান সংকুলানে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনী।

ইতোপূর্বে অগ্রিম ক্ষমা পাওয়া এক ব্যক্তিকে বুধবার হত্যা করে মিয়ানমারের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে হত্যা করা হয় তাকে।

গত ২৭ মার্চ মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আগেও প্রায় ৯০০ কারাবন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়।

এদিকে ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ তিন হাজার ১৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স।

সংস্থাটি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী; আছেন অধিকারকর্মী, সংবাদকর্মীসহ অনেকে।

পয়লা ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ১১ সপ্তাহ ধরে দেশ শাসন করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সু চির মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এ পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ৭২৮ জনকে।

এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তারকা, সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি অনুসারী থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে প্রশাসন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩৮০ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে।

‘শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলার’ অভিযোগে ৮০ জন চিকিৎসককে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশজুড়ে চলা গণবিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের অধীনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী। ফলে মহামারির সংকটজনক সময়ে দেশটিতে তাদের অনুপস্থিতির কারণে লোকবলের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

দেশের এমন নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেই অভ্যুত্থানের পর প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং।

আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় যাবেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর