বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোভিডের নতুন ধরন: ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় চার সহস্রাধিক মৃত্যু

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:১৯

এখন পর্যন্ত করোনার ৯২টি ধরন বা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ব্রাজিলে। দেশটি মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৩৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। এদিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের (সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি) পরই তাদের অবস্থান।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই দেশটিতে করোনার অনেক বেশি সংক্রামক নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে। আর এ কারণেই লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

এখন পর্যন্ত করোনার ৯২টি ধরন বা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৩৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। এদিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের (সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি) পরই তাদের অবস্থান।

হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপে স্বাস্থ্যসেবা প্রায় ভেঙে পড়েছে। তবে এমন বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যেও লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে রাজি নন দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। তিনি মনে করেন, লকডাউন দিলে অর্থনীতির যে ক্ষতি হবে তা ভাইরাসের বর্তমান ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি। স্থানীয়ভাবে আরোপ করা বিধিনিষেধগুলোও তুলে নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে মঙ্গলবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্থুলতা ও হতাশা বাড়ানো ছাড়া আর কিছু করার সাধ্য এ ব্যবস্থার নেই। যদিও নিজের বক্তব্যের সপক্ষে কোন প্রমাণ দেখাননি তিনি। ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯৫ জনের মৃত্যুর বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেননি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুসারে, ব্রাজিলে মঙ্গলবার পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু মার্চেই মারা গেছেন ৬৬ হাজার ৫৭০ জন।

ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের গতিবিধির ওপর নজর রাখছেন ডা. মিগুয়েল নিকোলেলিস। তিনি বলেন, ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামগ্রিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ব্রাজিল একটি বড় হুমকি।

‘ব্রাজিলের পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তাহলে বিশ্ব কখনওই নিরাপদ হবে না। কারণ এখানে প্রতি সপ্তাহেই করোনার নতুন ধরন পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্রাজিলের সীমান্ত পার হয়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়বে।

ব্রাজিলের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ পলিসি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক মিগুয়েল লাগো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর লকডাউনবিরোধী বক্তব্য মানুষ গ্রহণ করেছে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি মেয়র ও গর্ভনররা বুঝেশুনেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যথায় প্রেসিডেন্টের সমর্থক ও ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়তে পারেন তারা।’

সমালোচকদের মতে, টিকা সরবরাহ নিয়ে আলোচনায়ও তার সরকারের গতি বেশ শ্লথ। মাত্র আট শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে।

মহামারি বিশেষজ্ঞ এথেল মাসিয়েলে বলেন, ‘ব্রাজিল ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এখন যে গতিতে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমাতে অন্তত ২০ দিনের লকডাউন দেয়া প্রয়োজন।’

ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ৯২টি ধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে পি.১ নামে পরিচিত ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট। এটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।

২০২০ সালের নভেম্বরেই আমাজনাস রাজ্যে এর প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। রাজ্যের রাজধানী মানাওসে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ বছরের জানুয়ারি নাগাদ রাজ্যের ৭৩ শতাংশ মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্টের ছড়ানোর অর্থই হলো, আগামী কয়েক মাস সংক্রমণ আরও বাড়বে।

ডা. নিকোলেলিস বলেন, এ পরিস্থিতিতে সরকারের তৎপরতা ‘পুরোপুরো বিপর্যয়কর। ব্রাজিলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়। এভাবে চলতে থাকলে ১ জুলাই নাগাদ মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর