জর্ডানে ক্ষমতাসীন হাশেমীয় রাজপরিবারের ঐতিহ্য ও রীতিনীতি মেনে চলার অঙ্গীকার করে একটি চিঠিতে সই করেছেন একঘরে হয়ে পড়া প্রিন্স হামজাহ।
দেশটির রাজকীয় আদালতের বিবৃতির বরাত দিয়ে সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামজাকে উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমি মহামান্য বাদশাহর হাতে নিজেকে সমর্পণ করলাম।
‘প্রিয় হাশেমীয় রাজতন্ত্র জর্ডানের সংবিধানের প্রতি আমি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব এবং সব সময় মহামান্য বাদশাহ ও তার যুবরাজকে সহায়তা দিয়ে যাব।’
রাজকীয় আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর চাচা হাসানসহ অন্য প্রিন্সদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর চিঠিতে সই করেন সাবেক যুবরাজ হামজাহ।
চিঠিতে বলা হয়, ‘মাতৃভূমির স্বার্থকে অবশ্যই সব বিবেচনার ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। জর্ডান ও তার জাতীয় স্বার্থগুলো সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় আমাদের অবশ্যই বাদশাহর পাশে দাঁড়াতে হবে।’
রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজপরিবারে দ্বন্দ্ব নিরসনে বাদশাহ আবদুল্লাহ মধ্যস্থতায় যেতে রাজি হওয়ার পর প্রিন্স হামজাহর স্বাক্ষর করা চিঠিতে প্রকাশ্যে এলো।
জর্ডানের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রিন্স হামজাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও রাজকীয় আদালতের একসময়ের প্রধান বাসেম আওয়াদাল্লাহ।
গত রোববার জর্ডানের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশিদের সাহায্য নিয়ে হামজা যে ‘বিদ্বেষী পরিকল্পনা’ করেছিলেন, তা নস্যাৎ করা হয়েছে।
তবে এ ধরনের কোনো কাজে জড়িত নন দাবি করে হামজা বলেছেন, দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
এদিকে আম্মানের প্রাসাদে গৃহবন্দি হওয়ার তথ্য জানানোর পর প্রিন্স হামজাহর মুখ থেকে সরাসরি কোনো কথা শোনা যায়নি।