বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাওবাদীদের ‘ইউ-অ্যামবুশে’র ফাঁদে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৪৮

যুদ্ধ কৌশল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণকে ট্যাকটিকাল কাউন্টার অফেন্সিভ ক্যাম্পেইন (টিসিওসি) বলা হয়। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরা এই কৌশলে বহু বছর ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। এই কৌশলে জঙ্গলের মধ্যে ইংরেজি ইউ অক্ষরের মতো একটি ব্যুহ তৈরি করা হয়।

ভারতের ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে শনিবার মাওবাদীরা ‘ইউ অ্যামবুশ’ পদ্ধতিতে হামলা চালিয়ে ২৪ নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করে।এই হামলার হোতা হিসেবে গেরিলা নেতা মাধবি হিদমাকে দায়ী করা হলেও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেয়া ভুল তথ্যও এই হামলার কারণ।

ইউ-অ্যামবুশ গেরিলা যুদ্ধ

যুদ্ধ কৌশল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণকে ট্যাকটিকাল কাউন্টার অফেন্সিভ ক্যাম্পেইন (টিসিওসি) বলা হয়। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীরা এই কৌশলে বহু বছর ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। এই কৌশলে জঙ্গলের মধ্যে ইংরেজি ইউ অক্ষরের মতো একটি ব্যুহ তৈরি করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর মধ্যে ঢুকলে তিন দিক থেকে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এই হামলা এত মারাত্মক ও সুপরিকল্পিত যে প্রতি বছর বহু নিরাপত্তা কর্মী এতে নিহত হন।

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে অর্থাৎ চলতি মৌসুমেই এ ধরনের হামলা বেশি হয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ফেব্রুয়ারির পর আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়। বসন্তে গাছের নতুন পাতা আসতে শুরু করে। ফলে বনের মধ্যে উঁচু পাহাড়ে বসে নকশালরা অঞ্চলে অবস্থানকারী সেনাদের গতিবিধির ওপর সহজেই নজরদারি করতে পারে।

এ পরিস্থিতিতে মাওবাদীদের পক্ষে সেনাদের আক্রমণ করা খুব সহজ হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কোনো না কোনোভাবে গেরিলাদের পেতে রাখা ফাঁদে পা দেয়।

মাওবাদী সাবেক গেরিলা জানান, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ছত্তিশগড়ের বনাঞ্চলে নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বনাঞ্চলে টহল বাড়িয়ে দেয়া হয়।

বেশ কয়েক মাস ধরে এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে মাওবাদীরা। নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে বনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পাঠায় তারা।

নকশালরা ওই অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ফাঁদে ফেলার জন্য তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীও পাওয়া তথ্যগুলোকে সঠিক বলেই মনে করে। ঘন জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। এক সময় অ্যামবুশের জায়গায় পৌঁছে যায়। তখন আর এই চক্র থেকে বের হওয়ার পথ তাদের থাকে না।

বিজাপুরে যা হলো

বিজাপুরেও একই কৌশল খাঁটিয়েছে মাওবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দারা খবর পায়, দুই শীর্ষ মাওবাদী নেতা মাধবি হিদমা ও তার সহযোগী সুজাতা বিজাপুরের তেরেম এলাকায় জোনাগুদা পাহাড়ের কাছে লুকিয়ে আছেন। নিরাপত্তা বাহিনী দুই হাজার সেনা নিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এর মধ্যেই জঙ্গিরা তিন দিক থেকে ঘিরে হামলা চালায়। নিহত হয় ২৪ নিরাপত্তারক্ষী। একজনকে গেরিলারা ধরে নিয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর